৭ মাস পর হত্যা মামলা,সৎ মা গ্রেপ্তার,

ফরিদুল আলম দেওয়ান- মহেশখালী :

কথায় বলে সত্য একদিন ভেসে উঠবেই। একটি হত্যাকান্ডকে ধামা চাপা দিতে প্রাথমিক ভাবে বাবা ও সৎ মায়ের সিদ্ধান্তে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের মৃত্যুকে গলায় ফাঁস দিয়ে অাত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিয়ে ইউডি মামলা করে দায় এড়াতে চাইলেও আসল সত্য রহস্য বেরিয়ে এলো দীর্ঘ ৭ মাস পরে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আর পুলিশের তদন্ত বলছে, স্কুল ছাত্রী মাসুকা অাত্নহত্যা করেনি। মস্তিস্কের অাভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ জনিত কারণ ও শ্বাসরোধ করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় হত্যাকারী অার কেউই নয়, সৎ মা সাবিনা ইয়াছমিনই সৎ মেয়ে মাসুকার একমাত্র ঘাতক। অবশেষে দীর্ঘ ৭মাস পর ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজে বাদী হয়ে নিয়মিত হত্যা মামলা রুজ্জু করে তাৎক্ষনিক সৎ মাকে গ্রেপ্তার নিয়ে এসেছে অাইনের অাওতায়।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই ইমাম এর ভাষ্যমতে জানা যায়,
গত ৭ মার্চ মহেশখালী উপজেলার বড়মহেশখালী ইউনিয়নের পশ্চিম দেবাঙ্গা পাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে বড়মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাসুকা পরিবারের দাবী মতে গলায় ফাঁ দিয়ে অাত্নহত্যা করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করে। মাসুকার সৎ মা ও বাবার দাবী ছিল,মেয়েকে স্কুলের বেতনের জন্য দেয়া ১৮০ টাকা তার পাঠ্য বইয়ের ভিতর থেকে তার সৎ মায়ের অপর ছেলে চুরি করেছে। এ নিয়ে সৎ মা সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে মাসুকার তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে সৎ মা মাসুকাকে অাচারের কাঁচের বোতর দিয়ে কপালে বারি মারার পর সে অভিমান করে গলায় ওড়না পেঁছিয়ে অাত্মহত্যা করে। ঐ দিন মাসুকার বাবা মা’র ওই ভাষ্যমতে ওই দিন বাবা হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে মহেশখালী থানার ইউডি মামলা নং ০১/১৭ রুজ্জু হয়। মামলাটি এস,আই ইমাম ততদন্দীত করছে। দীর্ঘ ৭ মাস পর ২৩ অক্টোবর পুলিশের হাতে অাসা পোস্ট মর্টেম রির্পোটের ফলাফলে জানা গেল, শ্বাসরোধ ও কপালে অাঘাত জনীত কারণে মস্তিস্কের অভ্যান্তরে রক্ত জমাট বাঁধায় তার মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মহেশখালী থানার সুরতহাল রির্পোট তৈরীকারী কর্মকর্তা এস অাই ইমাম হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে সৎ মা সাবিনা ইয়াসমিন কে ১মাত্র অাসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই দিন ২৩ অক্টোবরই অভিযান চালিয়ে বড় মহেশখালী পশ্চিম দেবাঙ্গপাড়া গ্রাম থেকে সৎ মা সাবিনা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য, মাসুকার মা মোমেনা বেগম ২ সন্তান নিয়ে হেলাল উদ্দিনের সংসার থেকে ডিভোর্স হয়। পরে কুতুবজোম খোন্দকার পাড়া গ্রামের ইলিয়াস খলিফার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয় হেলাল উদ্দীনের।